ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কি..?
একজন দক্ষ ওয়েব ডেভেলপার হতে চাইলে, সঠিক রোডম্যাপ অনুসরণ করা জরুরি।
আর সেই বিষয়ে আজ কে ধাপে ধাপে আলোচনা করবো,
চলুন শুরু করা যাক।
১. প্রাথমিক ধারণা ও প্রস্তুতি কিভাবে নিতে হবে,
ওয়েব ডেভেলপমেন্ট শেখার আগে ইন্টারনেট ও ওয়েবের মৌলিক ধারণা এবং প্রোগ্রামিংয়ের প্রাথমিক জ্ঞান অর্জন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ,
ইন্টারনেট কিভাবে কাজ করে?
HTTP/HTTPS প্রোটোকল কী এবং কীভাবে কাজ করে, ব্রাউজার কীভাবে ওয়েবসাইট লোড করে, ডোমেইন এবং হোস্টিং সম্পর্কে জানা।
প্রোগ্রামিংয়ের বেসিক ধারণা, প্রোগ্রামিং লজিক ও অ্যালগরিদম, ভেরিয়েবল, ডাটা টাইপ, কন্ডিশন, লুপ,
ফাংশন ও অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং (OOP) এগুলো কিভাবে কাজ করে, সে বিষয়ে ভালো ভাবে জানা ইত্যাদি।
২. ফ্রন্টএন্ড ডেভেলপমেন্ট,
ওয়েবসাইটের ভিজ্যুয়াল ও ইন্টারেক্টিভ অংশ তৈরি করে।
যা শুরু করতে হয় HTML দিয়ে যার, পুরো অর্থ হলো, (HyperText Markup Language)
HTML ট্যাগ দিয়ে, ওয়েব স্ট্র্যাকচার থেকে শুরু করে ফর্ম ও ইনপুট টাইপ, সহ পুরো ওয়েবের কঙ্কাল তৈরি করার কাজ হচ্ছে, HTML দিয়ে করা।
CSS হচ্ছে, (Cascading Style Sheets)
স্টাইলিং ও লেআউট ডিজাইন করা, Flexbox এবং CSS Grid, ইত্যাদি , আপনি HTML দিয়ে যে স্ট্র্যাকচার তৈরি করবেন! সেটা কে আলোকিত বা সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তোলার কাজ হচ্ছে CSS এর।
HTML - CSS সমন্বয়ে যে ওয়েব সাইট তৈরি করা হবে, সেটাকে রেস্পন্সিভ ডিজাইন করতে হবে, যেনো মোবাইল ফ্রেন্ডলি ওয়েবসাইট হয়,
CSS প্রিপ্রোসেসর (SASS/SCSS) এগুলো ভালো ভাবে শিখতে হবে।
জাভাস্ক্রিপ্ট (JavaScript) দিয়ে কিভাবে,
DOM ম্যানিপুলেশন ও ইভেন্ট হ্যান্ডলিং, ES6+ ফিচার , Arrow Function, Promises, Async/Await। করতে হয় এই সব বিষয়ে ভালো ভাবে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
জাভাস্ক্রিপ্ট ফ্রন্টএন্ড ফ্রেমওয়ার্ক ও লাইব্রেরি, React.js বা Vue.js এগুলো শিখতে হবে।
কম্পোনেন্ট বেসড আর্কিটেকচার, স্টেট ম্যানেজমেন্ট Redux, Vuex সহ সকল বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
৩. ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্ট, যা ওয়েবসাইটের সার্ভার-সাইড অংশ নিয়ে কাজ করে, যেখানে ডাটাবেস, সার্ভার ও API ম্যানেজমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ব্যাকএন্ড ডেভেলপমেন্টের জন্য নিম্নলিখিত প্রোগ্রামিং ভাষাগুলোর যেকোনো একটি শিখতে পারেন, যেমন, Node.js (JavaScript), Python (Django/Flask), PHP (Laravel)
তারপর ডাটাবেস ম্যানেজমেন্ট, ডিজাইন ও অপ্টিমাইজেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এগুলো ভালো ভাবে শিখতে না পারলে, কাজ করা কঠিন হয়ে যাবে, যেমন, SQL ডাটাবেস MySQL, PostgreSQL।
NoSQL ডাটাবেস MongoDB, এগুলো থেকে যেটা সহজ মনে হয় শিখে নিতে পারেন।
API ডেভেলপমেন্ট, RESTful API ও GraphQL শেখা এবং API ডকুমেন্টেশন তৈরি করা (Swagger)।
৪. ভার্সন কন্ট্রোল এবং ডেপ্লয়মেন্ট, Git এবং GitHub, ভার্সন কন্ট্রোল সিস্টেম, ব্রাঞ্চিং এবং মার্জিংসহ
ওপেন সোর্সে কন্ট্রিবিউশন করার পদ্ধতি, এগুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে,
ডেপ্লয়মেন্ট, CI/CD পাইপলাইন (Continuous Integration and Deployment), হেরোকু, নেটলিফাই, ভার্সেল এর মাধ্যমে ডেপ্লয়মেন্ট,ডকার এবং কন্টেইনারাইজেশন ইত্যাদি।
৫. টেস্টিং এবং ডিবাগিং,
ইউনিট টেস্টিং, ইন্টিগ্রেশন টেস্টিং, এন্ড-টু-এন্ড টেস্টিং (Cypress, Selenium), ডিবাগিং, ব্রাউজার ডেভ টুলস ব্যবহার, লগিং এবং এরর হ্যান্ডলিং ইত্যাদি ইত্যাদি।