Be Careful When Using Email - কেন সতর্কতা জরুরি | Potiva Tech

 ইমেইল আমাদের জীবনের একটি অংশ হয়ে উঠেছে। অফিসের কাজ থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত যোগাযোগ, ব্যাংকিং, সোশ্যাল মিডিয়া—সবকিছুর জন্যই আমরা জিমেইল ব্যবহার করি। কিন্তু এই সুবিধার পাশাপাশি নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। সামান্য অসতর্কতা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য বিপদে ফেলে দিতে পারে। তাই, জিমেইল ব্যবহারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ সতর্কতা - সবাই কে মেনে চলা উচিত।


জিমেইল ব্যবহারে, যে কাজগুলো করা জরুরী?

১ শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা, কিন্তু অনেকেই সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে থাকে - যা হ্যাকারদের জন্য অনুমান করা সহজ হয়ে যায়। একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড এমন হওয়া উচিত যা অনুমান করা কঠিন, যেমন—সংখ্যা, বড় হাতের অক্ষর, ছোট হাতের অক্ষর এবং বিশেষ চিহ্নের মিশ্রণ। উদাহরণ, J!m@il#23Secure

🚫 ভুল উদাহরণ, 123456, password, mygmail

২ টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA) চালু করুন, কেননা টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন (2FA) চালু থাকলে, শুধু পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করা সম্ভব হয় না, বরং একবারের কোড (OTP) বা অথেনটিকেশন অ্যাপে অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। এটি জিমেইল নিরাপত্তা অনেকটা বাড়িয়ে দেয়।


2FA কিভাবে চালু করবেন?

প্রথমে Settings > Security > 2-Step Verification > Turn On করে দিন ।

৩ সন্দেহজনক ইমেইল ও ফিশিং লিংক এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন, অনেক সময় আমাদের ইনবক্সে সন্দেহজনক ইমেইল আসে, যেখানে বলা হয়- আপনার একাউন্ট ব্লক হয়ে গেছে, লিংকে ক্লিক করুন বা আপনি একটি লটারি জিতেছেন! এসব লিংকে ক্লিক করলে হ্যাকাররা আপনার তথ্য চুরি করতে পারে , তাই সর্বদা সতর্ক থাকা প্রয়োজন।জিমেইল ব্যবহারে সতর্কতা নিরাপদ যোগাযোগের জন্য জরুরি পদক্ষেপআমাদের করণীয় কি?

সন্দেহজনক ইমেইল এলে সেটার প্রেরকের ঠিকানা ভালোভাবে দেখুন, অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে নিজে থেকে লগইন করুন, সরাসরি ইমেইলে দেওয়া লিংকে ক্লিক করবেন না।

তা ছাড়া, Report Phishing - অপশন ব্যবহার করে গুগলকে রিপোর্ট করুন।

৪ যখন পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহার করবেন, তখন জিমেইল লগইন করা থেকে বিরত থাকুন,পাবলিক ওয়াইফাই (যেমন ক্যাফে, রেলস্টেশন, শপিং মল) এগুলোর ওয়াইফাই ব্যবহার করলে, আপনার একাউন্ট হ্যাক হওয়ার ঝুঁকি থাকে। এসব ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক থেকে আপনার তথ্য সহজেই চুরি হতে পারে।

 সুরক্ষার জন্য প্রয়োজন হলে VPN ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, মোবাইলের ইন্টারনেট (Hotspot) ব্যবহার করে লগইন করুন।

৫ নিয়মিত একাউন্ট চেক করুন ও অজানা অ্যাপে লগ‌ইন থাকলে‌ - লগআউট করুন, এবং জিমেইলের "Security" অপশনে গিয়ে দেখে নিতে পারেন, আপনার একাউন্ট কোথায় থেকে অ্যাক্সেস করা হয়েছে? যদি কোনো অচেনা ডিভাইস বা লোকেশন দেখতে পান, তাহলে দ্রুত সেই ডিভাইস থেকে লগআউট করুন।

📌 চেক করার জন্য,

Gmail > Manage your Google Account > Security > Your devices এখানে গিয়ে চেক করতে পারেন।

৬ আপনার গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল ব্যাকআপ রাখুন, কেননা গুরুত্বপূর্ণ ইমেইলগুলো - নিরাপদ রাখতে Google Takeout ব্যবহার করে, ব্যাকআপ নিতে পারেন। এটি কোনো জরুরি মুহূর্তে আপনার কাজে আসতে পারে।

ব্যাকআপ নেবার উপায়, Google Takeout ওয়েবসাইটে যান - Mail অপশনে সিলেক্ট করুন, তারপর ব্যাকআপ ফাইল ডাউনলোড করুন।


√ প্রতিটা মানুষের জীবনেই নিরাপত্তা গুরুত্বপূর্ণ,

নিজে সচেতন থাকুন, অন্যদের ও সচেতন হতে সাহায্য করুন।

Have a wonderful day 😊



Previous Post Next Post
Potiva Tech
Welcome to WhatsApp chat
Howdy! How can we help you today?
Continue to WhatsApp