বিজয় কিবোর্ড কি, কেন ব্যবহার করি এবং কিভাবে শিখব?
আমি যখন প্রথম বাংলা টাইপ শিখি, তখন আমার সামনে যেই কিবোর্ডটা ছিল, সেটা বিজয়। বিজয় কিবোর্ড অনেক পুরনো এবং অভিজ্ঞ বাংলা লেখকদের পছন্দের একটি টুল। এটি ASCII ভিত্তিক একটি বাংলা কিবোর্ড লে-আউট, যেটা ইউনিকোড আসার আগ পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল। এখনো অনেক অফিস, প্রেস, এবং অভিজ্ঞ টাইপিস্টরা বিজয় কিবোর্ড ব্যবহার করেন।
বিজয় কিবোর্ড ব্যবহারের কারণ:
- বাংলা টাইপের জন্য অনেক দ্রুত ও কার্যকরী।
- অফিসিয়াল ডকুমেন্ট, বই টাইপ, ও প্রকাশনার কাজে ব্যবহার হয়।
- বাংলাদেশের অনেক প্রতিষ্ঠানে এখনো বিজয় স্ট্যান্ডার্ড।
- অভিজ্ঞরা এটাতে টাইপে খুব দ্রুত গতি পান।
বিজয় কিবোর্ড সেটআপ করার ধাপ:
- প্রথমে Bijoy Bayanno সফটওয়্যারটি ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করো।
- ইনস্টল শেষে সফটওয়্যারটি ওপেন করো।
- Taskbar-এ বিজয় আইকনে ক্লিক করে 'Bijoy Classic' সিলেক্ট করো।
- এখন যেকোনো অ্যাপে (MS Word, Notepad ইত্যাদি) বাংলা টাইপ শুরু করো।
বিজয় কিবোর্ডের গুরুত্বপূর্ণ শর্টকাট কী (প্রথম অংশ):
কমান্ড | অক্ষর |
---|---|
Shift + j | ং |
Shift + a | আ |
Shift + i | ঈ |
Shift + u | ঊ |
Shift + s | শ |
Shift + d | ড |
Shift + w | ও |
বিজয় কিবোর্ড শর্টকাট (দ্বিতীয় অংশ):
- Ctrl + Alt + B = বিজয় চালু করা
- Ctrl + Alt + E = ইংরেজি মোডে ফেরত
- Ctrl + Alt + V = বিজয় ক্লাসিক
- Ctrl + Alt + U = ইউনিকোড মোড
- Ctrl + Alt + T = টাইপিং মুড পরিবর্তন
কিভাবে প্র্যাকটিস করলে টাইপিং দ্রুত হবে?
আমি প্রথমে প্রতিদিন ২০-৩০ মিনিট টাইপ প্র্যাকটিস করতাম। নিচের মত কিছু নিয়ম মেনে চললে খুব দ্রুত বিজয় কিবোর্ডে দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব:
- প্রতিদিন ১টি অনুচ্ছেদ কীবোর্ড দেখে না টাইপ করার চেষ্টা করো।
- শর্টকাট কী মুখস্থ করার জন্য নিজেই একটি তালিকা বানিয়ে নাও।
- বিজয় কিবোর্ড লে-আউট প্রিন্ট করে সামনে রাখো।
- অনলাইন বাংলা টাইপিং গেম/সফটওয়্যার ব্যবহার করো (যেমন: Bijoy Typing Tutor)।
সাধারণ কিছু সমস্যা ও সমাধান:
-
সমস্যা: বাংলা অক্ষর ঠিকমতো দেখায় না।
সমাধান: বিজয় ফন্ট (SutonnyMJ/SolaimanLipi) ইনস্টল করে নাও। -
সমস্যা: টাইপ করলে গড়মিল হয়।
সমাধান: বিজয় ক্লাসিক মোড চালু করো এবং কীবোর্ড সেটিং ঠিক আছে কিনা চেক করো। -
সমস্যা: Ctrl + Alt শর্টকাট কাজ করছে না।
সমাধান: বিজয় সফটওয়্যারকে অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হিসেবে রান করো।
বিজয় কিবোর্ড শিখে ফেলার জন্য খুব বেশি কিছু লাগবে না—শুধু নিয়মিত প্র্যাকটিস আর একটু ধৈর্য। আমি এখনো শিখছি, এবং যেটুকু শিখেছি তা থেকেই তোমাদের সাথে এই অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিচ্ছি। যদি তুমি বাংলা টাইপিং-এ ভালো হতে চাও, তাহলে আজ থেকেই শুরু করো বিজয় কিবোর্ড দিয়ে।